এইচ এম জালাল উদ্দীন কাউছার, উখিয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে দিন দিন বাড়ছে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির সংখ্যা। এসব ফার্মেসিতে হাতুড়ে ডাক্তার ও রোহিঙ্গা কর্মীরা অবাধে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন—ফলে ঘটছে অপচিকিৎসা ও হয়রানির ঘটনা।

সম্প্রতি একটি রোহিঙ্গা-পরিচালিত ফার্মেসিতে মাথাব্যথার রোগীকে ঘুমানোর জন্য ইনজেকশন ও ‘ফ্লনটিন ৫০০’ নামক একটি ওষুধ দেওয়া হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন রোগী। এমন ঘটনা এখন সেখানে প্রায় নিয়মিত।

মিয়ানমারের সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের প্রায় ৩০টি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। এসব ক্যাম্প ঘিরে ও আশপাশের এলাকায় একশ্রেণির রোহিঙ্গা ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মিলে ভুয়া লাইসেন্স ব্যবহার করে চালাচ্ছেন ফার্মেসি। এসব প্রতিষ্ঠানে কোনো প্রশিক্ষণ বা সার্টিফিকেট না থাকলেও চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম।

শুধু রোহিঙ্গা নয়, ক্যাম্পসংলগ্ন অসহায় সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মরা-গাছতলা ও আশপাশের গ্রামীণ এলাকার মানুষও পড়ছেন হয়রানির শিকার। চিকিৎসার নামে নেওয়া হচ্ছে নগদ অর্থ। অথচ এসব ফার্মেসির নেই কোনো বৈধ ড্রাগ লাইসেন্স বা চিকিৎসকের অনুমোদন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনিম তাসিন জানান, বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। অতীতেও লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি ও অবৈধ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। খুব শিগগিরই আবারও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তারা আশ্বস্ত করেন।